১. দাবা খেলায় আমি প্রায়ই হারি। কিন্তু তারপরও খেলি। কারণ এটা আমাকে জেতার কৌশল নিয়ে চিন্তা করতে শেখায়। জীবনের দাবা খেলায় হেরে গেলেও আমি আবার খেলি। নিশ্চয় মাথায় একদিন বিদুৎ চমকের মতো জেতার কৌশল ফুটে উঠবে।
২. কিছু ক্ষুধা পেটে রেখে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া ভালো। কারণ বেঁচে যাওয়া খাবার কেউ না কেউ খাবে।
৩. একমাত্র মৃত্যু শয্যায় মানুষ বুঝতে পারে, জীবনে একটি অতি মূল্যবান বই পড়া বাকি রয়ে গেছে। বইটির নাম ‘ স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় সমূহ’।
৪. বিকৃতি বোঝা যায় মেয়েদের ইনবক্সে পাঠানো মেসেজ চেক করলে।
৫. আমার মেয়ে বললো, বাবা, দাদু এত প্রশ্ন করেন, তোমার বিরক্ত লাগে না? আমি বললাম, ছোটোবেলায় এরচে শতগুণ প্রশ্ন আমি তাঁকে করতাম, কিন্তু তিনি বিরক্ত হতেন না।
৬. একজন কনিষ্ঠ সহকর্মী-সহ লাঞ্চে বসেছি। খাওয়া শেষে সে বিল দেওয়ার অনুমতি চাইল। বললাম, অবশ্যই অনুমতি দেব, শুধু একটি প্রশ্নের যদি ‘হ্যাঁ’ জবাব দিতে পার? “কী প্রশ্ন স্যার?’ ‘তুমি কি আমার চে বেশি বেতন পাও?’
৭. ভদ্রলোক বললেন, স্যার, বান্দরবানে চমৎকার একটি রিসোর্ট করেছি। একবার ভাবি-সহ আসুন। খুব খুশি হব। বি মাই গেস্ট স্যার।” উত্তর: “অনেক ধন্যবাদ। সাতাশ সালে রিটায়ার করব, তখন যদি এ দাওয়াত বহাল থাকে অবশ্যই যাব।”
৮. ভদ্রলোক খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম করে বললেন, আমি ওনার বন্ধু। কাজটা করে দিন। উত্তর: উনি কে? আমার সাথে পড়তেন? নাকি একই পাড়ায় থাকতেন?” “কী বলেন স্যার! ওনাকে চেনেন না!!” ” আমার তো বাংলাদেশের সব মানুষকে চেনার দরকার নাই। আমার কী করতে হবে আইনই তা বলে দেবে, কোনো নাম না।”
৯. খাবারকে ওষুধ বিবেচনায় খাওয়া উচিত, নয়তো পরে ওষুধকেই ‘খাবার’ হিসেবে খেতে হবে।
১০. ‘মানুষ হয়ে জন্মানো সহজ, কিন্তু ‘মানুষ’ হয়ে উঠা কঠিন। খুবই কঠিন।
(১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক স্টিভ জবসের মতো বিখ্যাত মানুষ যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। তবে কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব। ২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত)
#আসুনমায়াছড়াই।