#আমার বিশ্বাসগুলো-০৭ ১. জীবন হচ্ছে ফুটবল খেলা। এখানে বল নিয়ে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। আত্মরক্ষার জন্য মাঝে মাঝে পিছাতে হয় বটে, তবে লক্ষ্য কিন্তু একটিই- সামনের দিকে ছুটে যাওয়া। ২. নেহেরুর চির রাজনৈতিক শত্রু সুভাষ বসুই কিন্তু জার্মানিতে নেহেরুর স্ত্রী কমলা নেহেরুর মুখাগ্নি করেছিলেন। আর কেউ পাশে ছিলেন না। আমি জানি না আমার শেষ যাত্রার খাটিয়া কে ধরবেন? তাই আমি কাউকেই শত্রু জ্ঞান করি না। ৩. আমি তাঁকে বললাম, “আপনাকে আমি ঘৃণা করি।” “কেন?” তিনি বিষ্মিত চোখে জিজ্ঞেস করলেন। “কারণ আপনার সামনে আমার নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়।” তিনি স্মিত হেসে বললেন,” আমি কিন্তু আপনাকে পছন্দ করি। কারণ মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বড়ো কিছু করা যায় না।” ৪. গিবত করা অন্যায়। তারচে বড়ো অন্যায়, আমার গিবত কেউ বিশ্বাস না করলে তাকে শত্রু জ্ঞান করা। ৫. একটি বই পড়ছি, তাতে কেবল দুঃখের কথা। তাই রেখে দেব ভাবছি, এমন সময় মনে হলো, এটার সমাপ্তি তো চমৎকারও হতে পারে। জীবনও একই রকম। বর্তমান সময়টা খারাপ গেলেও হয়তো এর শেষ হবে অতি আনন্দের। ৬. প্রভু আমাকে সে জ্ঞান দিও না, যা অন্যকে অশিক্ষিত ভাবতে শেখায়। ৭. টাকা দিয়ে আমি কী করবো? মারা গেলে আমাকে খাবে পোকে আর ঐ টাকা খাবে লোকে। ৮. তিনি বললেন,”বিছানার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমাবেন না। তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে।” আমি বললাম, কিন্তু আমার যে সকালে অ্যালার্ম ছাড়া ঘুম ভাঙে না। তিনি হেসে বললেন, “বাজারে তিনশো টাকায় অ্যালার্ম ঘড়ি কিনতে পাওয়া যায়।” ৯. সোশাল মিডিয়ায় সুখি ভাবের কোনো মানে নেই, যদি বাড়িতে সুখ না থাকে। ১০. মাতাল স্ত্রী এবং কন্যার পার্থক্য বুঝে না। তাই তার কাছে এমন কি নিজ কন্যাও নিরাপদ নয়। (পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত মানুষ যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। তবে কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব। ২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত) #আসুনমায়াছড়াই।