আমার বিশ্বাসগুলো -০৯

১.ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে গরম ভাত আর ডালের চেয়ে বড়ো আর কোনো উপহার নেই।
২. সারা দুনিয়া আমাকে ‘অমুক’ এর মতো বানাতে চায়। এ চেষ্টা বাদ দিয়ে দয়া করে আমাকে ‘আমি’ হতে দিন।
৩. মোড় পেরুলেই হাতছানি দিচ্ছে সমুদ্র। কিন্তু আমার অপূর্ব সাগর দেখা হয়নি, কারণ মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পথ কষ্ট আমি মানতে রাজি নই।
৪. আমার সবচে বড়ো সীমাবদ্ধতা ‘আমি’ নিজে। এটা অতিক্রম করতে না পারলে কিছুই হবে না।
৫. জীবনের প্রথম আয় দিয়ে আমি বাবার জন্য কয়েকটি শার্ট-প্যান্ট কিনবো। কারণ সব সময় দেখেছি আমাদের শার্ট-প্যান্ট বদলায়, কিন্তু তাঁরটা বদলায় না।
৬. জীবনের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি ভালো দৈনিক পত্রিকা।
৭. আমি ভুল করছি, কিন্তু আমার বন্ধু নিষেধ করছে না- এমন বন্ধু দুনিয়ার সবচে ভয়ংকর বিষ।
৮. জীবনের প্রথম বেয়াদবি শুরু হয় বাড়িতে মায়ের বয়সী যে মহিলা কাজ করেন তাঁকে ‘বুয়া’ ডেকে।
৯. আমার ভয়, যে শিক্ষা পদ্ধতিতে আমরা এগুচ্ছি, তাতে বিশ বছর পর আমাদের তরুণ সমাজ বিশ্ব বিচারে বাতিল হয়ে যায় কি না?
১০. রাস্তায় একা কোনো কিশোরী কিংবা তরুণীকে দেখলে আমার খুব ইচ্ছে হয় তাকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেই। কারণ আমি জানি শহরের আরেক রাস্তায় ঠিক এভাবেই আমার মেয়ে বা কন্যা একা বাড়ি ফিরছে।
(পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। আনার আয়াকিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব।
২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত।

আসুনমায়াছড়াই।)