১. করোনার আকালে আপনি যেমন খরচ কমানোর জন্য আপনার বাচ্চাকে ঘর থেকে বের করে দিতে পারেন না, ঠিক তেমনি আপনার কোনো কর্মীকেও প্রতিষ্ঠানচ্যুত করতে পারেন না। যা পারেন তাহলো, তাদের পেছনে ব্যয় হ্রাস।
২. আমাদের সবার জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত আসে যখন সত্যি অনুভূতিটা বলতে ইচ্ছা করে, কিন্তু পারি না।
৩. সমবেদনা জানানোর সঠিক ভাষা জানা না থাকলে যাকে জানাচ্ছেন তাঁর কষ্ট আরো বেড়ে যেতে পারে।
৪. খুব বিশ্বস্ত না হলে কাউকে কষ্টের কথা না বলাই উচিত। কারণ তিনি আসলে তা উপভোগ করবেন, সমব্যথী হবেন না।
৫. তোয়ালে মুচড়ে পানি বের করার মতো বাচ্চাকে মুচড়ে তার গুণ বের করার চেষ্টা করবেন না। তার গুণ আপনা থেকেই বিকশিত হতে দিন।
৬. একটি কফি শপে মাঝে মাঝে যাই। প্রায় প্রতিবার একটি মেয়েই সার্ভ করে। কখন যে সে আমাকে ‘বাবা’ ডাকা শুরু করলো নিজেই জানি না। প্রতিবার তার বাবা ডাক শুনি, আর মনে হয় জীবনটা একদম বৃথা যায়নি।
৭. ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার অফিস টাইম কতক্ষণ? উত্তর এলো, “এমনিতে আট ঘন্টা, কিন্তু প্রায় তা দশ ঘন্টা ছাড়িয়ে যায়।” এবার প্রশ্ন করলাম, “তুমি কি এতে খুশি?” ছেলেটি হাসিমুখে বললো, “জী স্যার।” অবাক হয়ে বললাম, কেন?”কারণ স্যার কাজ শেষে আমার বস আমাকে প্রতিদিন ধন্যবাদ দেন।”
৮. জীবনের মূল্য তাই যা আপনি নির্ধারণ করেন। দশ টাকা নির্ধারণ করলে জীবনের মূল্য তাই হবে, বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করলে তা বিলিয়ন ডলারই হবে। লাইফ উইল গিভ ইউ দা প্রাইস, ইউ আসক ফর।
৯. পরীক্ষার রেজাল্টের দিন বাবা দুটো চিরকুট রেডি রাখতেন। ভালো ফল হলে যেটি দিতেন, তাতে একটি মাত্র শব্দ লেখা থাকতো, তাহলো,’অভিনন্দন‘। আর খারাপ হলে যেটি দিতেন তাতে লেখা থাকতো দুটো বাক্য, “এটাই তোমার জীবনের শেষ পরীক্ষা নয়, পরের পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য অগ্রীম অভিনন্দন।”
১০. চেষ্টা ছাড়া স্বপ্ন আসলে স্বপ্ন নয়, সেটা হচ্ছে স্বপ্ন বিলাস এবং এর শেষ পরিণতি হচ্ছে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা।
১১. উপরওয়ালা শরীরে সবার উপরে মাথাকে স্থান দিয়েছেন যাতে আমরা সবসময় তা উঁচু করে চলি। এটা না করলে পরম করুণাময়কেই অপমান করা হয়।
(পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। আবার কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব।২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত। তবে ক্রেডিট দিলে কৃতার্থ থাকব।)