আমার বিশ্বাসগুলো -১৮

১. বাস্তবের রাখাল বালকদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। নিজের ছেলেমেয়েরাও তাদের বিশ্বাস করে না।
২. উনবিংশ শতাব্দীতে মানুষ সোনা খোঁজার লোভে মরুভূমিতে গিয়ে মরতো, এখন বাংলাদেশে মরে না বুঝে শেয়ার বাজারে গিয়ে।
২. যা ঘটে তা আমাদের জীবনের ১০ ভাগ, বাকি ৯০ হচ্ছে যা ঘটেছে তার প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া। ট্রেন মিস করলাম তা হচ্ছে ১০ ভাগ, আর মিস করার জন্য যে আহাজারি তা ৯০ ভাগ।
কী হবে ট্রেন মিস করলে? পরের ট্রেনে যাবো। এ দেরির জন্য তো আমার ফাঁসি হবে না।
৩. আজকেই জীবনের শেষ দিন এটা ভাবলে কোনো খারাপ কাজ করা সম্ভব না। হতেও তো পারে। যে লোকটি কাল মারা যাবেন, তিনি কি জানেন আজই তাঁর শেষ দিন? এর মধ্যে আমিও থাকতে পারি।
৪. মৃত্যুশয্যায় বেশির লোকের আফসোস হলো সারা জীবন খ্যাতি বা বিত্তের পেছনে এত ছোটাছুটি না করলেও পারতাম।
৫. আমরা নিজেরা যদি বাচ্চাদের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব না নেই, পরিবেশ সে দায়িত্ব নেবে। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের পরিবেশ শিক্ষক হিসেবে মোটেও ভালো নয়।
৬. সবচে বড়ো ঝুঁকি হলো ‘ঝুঁকি’ না নেওয়া।
৭. আমার বন্ধু নির্বাচনই বলে দেবে আমি মানুষ হিসেবে কেমন।
৮. অন্যের যত্ন নিতে হলে আগে নিজের যত্ন নিতে হবে। নয়তো সেবা করার সক্ষমতা আসবে না।
৯. ভালোবাসা আমরা যা বলি তা নয়, ভালোবাসা হচ্ছে আমরা যা করি তা।
১০. ‘কমন সেন্স’ হচ্ছে এমন একটি ফুল যা সবার বাগানে ফোটে না।
(পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। আবার কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব।
২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত। তবে ক্রেডিট দিলে কৃতার্থ থাকব।)

আসুনমায়াছড়াই।