আমার বিশ্বাসগুলো-৪

১. পঞ্চাশ বছর আগে পশু শিকারিরা ছিলেন ‘হিরো’। এখন যারা পশু রক্ষা করেন তাঁরাই হিরো। এভাবেই মানুষ প্রকৃত হিরোর সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছে।

২. জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার জিনিস। তা মগজবন্দি করে কবরে নেওয়াটা বড়ো ধরনের অপরাধ।

৩. রশিকে সাপ ভাবলে তেমন ক্ষতি নেই, কিন্তু সাপকে রশি ভাবলে সর্বনাশ।

৪. যে তরুণটি আমার সাথে কাজ করতে এসেছে, সে হচ্ছে কাদা মাটির তাল। তা দিয়ে দেবতাও গড়া যায়, দানবও গড়া যায়। কোনটা বানাব তা আমার ইচ্ছে। তবে এ ইচ্ছের শেষ প্রান্তে ঝুলে আছে ঘৃণা আর শ্রদ্ধা। এর মধ্যে কোনটা বেছে নেব সে সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে।

৫. “আমার মুক্তি সর্বজনের মনের মাঝে, দুঃখ বিপদ তুচ্ছ করা কঠিন কাজে।”

৬. সারা জীবন সেই মানুষটার খোঁজে দৌড়ালাম, যাকে দেখলেই বলতে ইচ্ছে করবে, “আমি আপনার মতো হতে চেয়েছিলাম।”

৭. পৃথিবীর সবচে ধনী মৃত ব্যক্তি হয়ে টন টন মাটির নিচে শুয়ে থাকার কোনো অর্থ নেই। সেখানে তা কোনো কাজে লাগে না।

৮. আমার মেয়ে বললো, বাবা, মেশিন যখন সব কাজ করে দেবে, কী মজার জীবন হবে তাই না?আমি বললাম, মোটেও না, কারণ মেশিনের হৃদয় নেই।

৯. তিনি আমার দিকে গভীর স্নেহ নিয়ে তাকালেন, তারপর পাঠ করলেন, পবিত্র সুরা আল ইমরান থেকে, “তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন।”তারপর বললেন, “মায়ের গর্ভে যে শুদ্ধতা আপনার ছিল তাই হচ্ছে আত্মার শুদ্ধতা। দুর্ভাগ্য হলো, আমরা বেশির ভাগ মানুষ তা বয়সকালে হারিয়ে ফেলি।

“১০. আমি আমার স্বপ্ন কখনোই বদলাব না, যা করব তা হচ্ছে সে স্বপ্ন অর্জনের জন্য নিজেকে বদলে ফেলব।

#আসুনমায়াছড়াই