বাদল সৈয়দ - Badal Syed

করোনাকালের অভিজ্ঞতা -০১

করোনাকালে আমাদের অভিভুত করার অনেক অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
এরকম একটি ঘটনার কথা ‘অনেস্ট’ এর সিইও Opu Monirul
গ্রুপে পোস্ট করেছে।
ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ গল্প এটি।

কলটি এসেছিল রাত ১১ টার কাছাকাছি সময়ে। করেছে একজন ছাত্র। চট্টগ্রামে থাকে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। টিউশনি করে চলে। কিন্তু করোনার কারণে বাসায় ছাত্র পড়ানো বন্ধ। গত কিছুদিন একবেলা খেয়েছে অথবা খালি পেটে থেকেছে। সে অপুকে বলেছিল “ভাইয়া আমি লাকি, এখনও থাকার জায়গা আছে। কিন্তু ভাইয়া, খাবার নেই। বাধ্য হয়ে। গত দুদিন রিকশা চালাতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন। সবাই এটা পারে না। দুদিনের চেষ্টায় মানুষের গালাগালি শোনা ছাড়া কোনো লাভ হয়নি।”
“তুমি কী করবে ঠিক করেছো? ডু ইউ হ্যাভ এনি প্ল্যান?” অপু জিজ্ঞেস করলো।
“ভাইয়া, আমি রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করবো।”
“কী বলো! সবজি বিক্রি করবে?”
“হ্যাঁ, ভাইয়া তাই করবো।” অপুর বিস্মিত প্রশ্নের জবাব এলো।

ছেলেটির আত্মবিশ্বাস এবং গলার আওয়াজ শুনে অপুর খুব ভালো লেগেছিল। তাই ছেলেটিকে কিছু টাকা ‘অনেস্ট’ থেকে দেয়া হয়েছিলো।
এরপর চৌদ্দদিন কেটে গেছে।
অপু একদিন চকবাজার গেলো, যেখানে ছেলেটি সব্জি বিক্রি করার কথা।
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলো সে শুধু সব্জি নয়, সাথে কিছু ফলও বিক্রি করছে।
সে নিজেই ফলের কারবারটা বাড়িয়েছে, সব্জি বিক্রির লাভের টাকা খাটিয়ে।
দূর পরিষ্কার থেকে দেখা যাচ্ছে তার চেহারায় ফুটে থাকা ‘আত্মবিশ্বাস।’

আমরা জানি, এভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
না,আমরা খয়রাতি জাতি নই, আমরা হচ্ছি লড়াকু জাতি।
একমাত্র লড়াকু জাতিরাই অবলীলায় মাতৃভূমির জন্য ত্রিশ লক্ষ প্রাণ বিসর্জন দিতে পারে।
#আসুনমায়াছড়াই