আমার বন্ধু ফজল এ খুদা খুব নামকরা একটি শিশুতোষ প্রকাশনার সাথে জড়িত।
বেশ কয়েক হাজার শিশু/কিশোর তাদের পত্রিকা পড়ে বলে জানি।
সেদিন তার সাথে কথা হচ্ছিলো-
দোস্ত,তুইতো তো তরুণদের জন্য অনেক কিছু লিখিস।তবে কি জানিস, মানূষের চিন্তা/মূল্যবোধের উম্মেষ কিন্তু শিশুকালে।কৈশোরে তা ‘আকৃতি’ পায়। শিশু/কিশোর অবস্থায় কিছু মাথায় গেঁথে গেলে তারুণ্যে অনেক চেষ্টা করেও তা বের করা যায় না। তাই অল্প বয়সেই গাছে পানি দিতে হবে। পরে দিয়ে লাভ হবে না।
তুই ওদের জন্য কিছু লিখ।
ওদের জন্য লিখবো ? ওরা কি আমার লেখা পড়বে? বুঝবে?আমি জিজ্ঞেস করলাম।
ঠিক তা না,তুই লিখবি এসব শিশু/কিশোরদের বাবা-মায়েদের জন্য। কীভাবে বাচ্চা মানুষ করা দরকার?কীভাবে তাদের মগজে মূল্যবোধ,সততা এগুলো গেঁথে দেয়া যায়?,কীভাবে তাদের লড়াই করার মন্ত্র মুখস্থ করা যায়।? কীভাবে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে হয়? এসব নিয়ে লিখ দোস্ত।আমরা ছাপাবো।
মানে?
মানে হচ্ছে,আমরা তোর বইটা ছাপাবো।আমাদের হাজার দশেক গ্রাহক আছে। তারা উপকৃত হবে।অন্যরাও হবে।
তুই লিখবি বাচ্চাদের কীভাবে সোনায় মুড়ানো মানুষ বানানো যায়, তাদের মা- বাবারা পড়বেন। এটার দরকার আছে,দোস্ত।আমাদের সমাজে মোরাল প্যারেন্টিং এর বিশাল সমস্যা।
আমি আমতা আমতা করে রাজি হলাম।যদিও জানি না পারবো কীনা?
কিন্তু মানব শিশুর মতো অমূল্য চারায় পানি দেয়ার চেষ্টা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের ব্যাপার।
দেখি না চেষ্টা করে।
ভাবছি আগে আমার ওয়ালে লিখবো।দেখি সাড়া কেমন পাওয়া যায়?
তারপর বই এর ভাবনা।
আমাদের টার্গেট বই মেলা ২০২১।
এক বছর সময় নেবো ব্যাপারটি নিয়ে পড়াশুনার জন্য।নিরবিচ্ছিন্ন পড়া ছাড়া ভাল কিছু লেখা যায় না।
শেষ করার আগে জাস্ট প্রথম পরামর্শ দিয়ে শেষ করি-
১. বাচ্চাকে প্রথম যেটা শেখাবেন সেটা হচ্ছে,গৃহকর্মীকে যাতে বুয়া না ডাকে। স্কুলের সাহায্যকারী কে যাতে ‘আয়া’ না ডাকে।
তাঁদের যাতে ভুলেও তুই- তোকারি না করে।
মানুষকে ভালবাসার যে দীর্ঘ যাত্রা সে শুরু করতে যাচ্ছে তা শুরু হোক তাদের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলা এসব মানুষগুলোকে শ্রদ্ধা করার মাধ্যমে।
#আসুনমায়াছড়াই