ওজন নিয়ে অনেকেই সমস্যায় আছেন। তাই ইদানিং ‘ডায়েট’ নিয়ে এক ধরনের জাতীয় ক্রেইজ লক্ষ্য করছি। সবাই ‘ক্রাশ’ প্রোগ্রাম হাতে নিচ্ছেন।
এ সচেতনতা খারাপ না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সবাই ভিডিও দেখে কমবেশি একই ডায়েট নীতি অনুসরণ করছেন।
এর ফল ভয়াবহ হতে পারে। চিকিৎসক/ডায়েটেশিয়ানদে সাথে আলাপ করে জানলাম, প্রতিটি মানুষের জন্য ডায়েট চার্ট/পদ্ধতি আলাদা।তাই অন্ধভাবে তা অনুসরণ করা এমনকি অকাল মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
এ ব্যাপারে কিছু নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। করাই যায়,কারণ পঁচিশ বছর বয়সে আমার যে ওজন ছিল বায়ান্নতেও তাই। সেই সময় যে চুল ছিল, এখনো তাই আছে। সেখানে রূপালী রং জায়গা করে নিতে পারেনি। (গায়ের রংও বদলায়নি,আলকাতরা কালো। হাহাহা।) তখনো ছ’ সাততলা সিঁড়ি বাঘের ক্ষিপ্রতায় পার হতাম, এখনো তা পারি। তখনো ফুটবলে পেনাল্টি আটকে দিতাম, এখনো কমবেশি দেই।
তাই আমি মনে করি ওজনসহ শরীর ফিট রাখার ব্যাপারে আমার কিছু বলার অধিকার আছে।
১. আমি কোনদিন ডায়েট করিনি। শুধু পরিমিত খেয়েছি। অসময়ে খাওয়া নাস্তি মেনেছি।
২. সব সময় হাঁটাচলায় থেকেছি। সেটা সকাল, সন্ধ্যা যখনই হোক। ইদানিং সাইকেল চালাচ্ছি।
৩.লিফট এভয়েড করেছি।
৪. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েছি, খুব ভোরে উঠেছি।
৫. অযথা টেনশন করিনি। সমস্যা হলে সন্ন্যাসী গৌড় গোপাল দাসের ফর্মূলা অনুসরণ করেছি। তাহলো, ভেবেছি, এ সমস্যা কি আমি সমাধান করতে পারবো? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, নো টেনশন।কারণ সমাধান তো আছেই। আর উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলেও নো টেনশন, যেটার সমাধান করতে পারবো না সেটা নিয়ে টেনশন করবো কেন? সময়ই তা সমাধান করবে।
৬. সব সময় খাওয়াদাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম এগুলোর নিয়ম মেনে চলেছি। একই নিয়ম।
৭.দুপুরে ২০ মিনিট পাওয়ার ন্যাপ নিয়েছি।
৮. জাংক ফুড একদম নো,এন্ড নেভার।
৯. হাসিখুশি থেকেছি। কৌতুক পড়ে নিজে নিজে হেসেছি।হাহাহা। রাগ নিয়ন্ত্রণ করেছি।
১০. প্রচুর পানি পান করেছি।
১১.জীবনের ইঁদুর দৌড়ে যোগ দেইনি।
এগুলো যে সচেতনভাবে করেছি তাও বলা যাবে না। অটোমেটিক এ প্যাটার্নটি গড়ে উঠেছে আমার বাবার জীবন যাপনকে ধারণ করতে গিয়ে।
এখন মনে হয় এগুলোই বায়ান্নতেও চালশে হতে দেয়নি। পঁচিশ বছর পর কারো সাথে দেখা হলে আমাকে চিনতে এক মুহূর্ত সময় লাগে না।
ডায়েটের চাইতে অনেক উপকারী হচ্ছে ‘জীবন যাপন’ স্টাইল।
সবাই ভাল থাকুন।
#আসুনমায়াছড়াই।