রোজাবেল,মা তোকে বলছি
খুব ভোর।
সূর্য উঠার আগেই কয়েক মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরে এসেছি। ঠিক সাড়ে ছ’টায় রোজাবেলকে ঘুম থেকে জাগাতে হবে।আমার ওকে জাগাতে খুব খারাপ লাগে। আমার মেয়ের চোখে তখনো জমাট বেঁধে থাকে নিবিড় ঘুম। সে ঘুম নিয়েই তাকে উঠতে হয়। স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হয়।এর মধ্যে তাকে আমি প্রতিদিন বলি, মা, বিছানা গুছা।সে খুব বিরক্ত হয়।এমনিতেই রাজ্যের ঘুম-ক্লান্ত শরীর, তার উপর এ যন্ত্রণা!সেদিন সে প্রায় বিদ্রোহ করলো।’বাবা, এমনিতেই এ সময় আমার খুব খারাপ লাগে। তার উপর তুমি রোজ রোজ বিছানা গুছাতে বলো। কী হয় এ কাজটি না করলে?’এ কাজটি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ মা।’কেন?’মা, আমি চাই তোর প্রতিটি দিন ঈদের আনন্দে কাটুক। প্রতিদিন হোক অতি সুখের। কিন্তু বাবা, সেটা তো হওয়ার নয়। প্রতিদিন কারো ভাল যায় না। খারাপ দিনও আসে। হয়তো আজই হবে তোর সেই খারাপ দিন। হতে পারে স্কুলে যাওয়ার সময় ট্রাফিক জ্যামে আটকাবি, ক্লাশ টেস্ট খারাপ হবে, টিচারের ধমক খাবি- এরকম হতে পারে না?’হতে পারে। কিন্তু এর সাথে বিছানা গুছানোর সম্পর্ক কী?’মা, তুই যদি সকালে বিছানা গুছিয়ে ঘর থেকে বের হোস তবে সারাদিন খারাপ গেলেও একটি ব্যাপার নিশ্চিত, সেটি হলো মন্দ দিনের শেষে বাড়ি ফিরে তুই অন্তত ঘুমানোর জন্য একটি গোছানো পরিপাটি বিছানা পাবি। দ্যাটস ইম্পর্ট্যান্ট মা, ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট। ( মূল উপদেশটি আমেরিকান ‘নেভি সিল’ এর এডমিরাল উইলিয়াম এইচ ম্যাকরাভেনের। আগামী পর্ব ২ ডিসেম্বর, ২০১৯,সোমবার। লেখাটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত।