১.যেহেতু আমি ব্যাপারটা বুঝি না, তাই শেয়ার বাজারে যাবো না। অন্যরা যখন মনিটরে শেয়ারের দাম দেখেন, তখন আমি দেখি তার পেছনে লুকিয়ে থাকা হাঙর। যে আমার রক্ত ঘাম করা টাকা গিলে খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। এ সর্বনাশা হাঙরকে খাওয়ানোর জন্য আমার টাকা নয়। (অতীত আমার কথার সাক্ষ্য দেবে। এ বাজার সবার জন্য নয়।)
২. যে প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক লাভ দেবে, তার সাইনবোর্ডের দিকেও আমি তাকাবো না। যখন অত্যন্ত বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান তা পারছে না, তখন এরা অস্বাভাবিক লাভ কোত্থেকে দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে? দিচ্ছে কারণ টোপ ফেলছে। আমি টোপ গিললেই কড়াইয়ে ভেজে খেয়ে ফেলবে। ওরিয়েন্টাল ব্যাংক, ইউনিপেসহ আরো অনেক উদাহরণ সামনেই আছে। এদের ভল্টে ভাঙতি পয়সাও পাওয়া যায়নি। তাই এসব ধান্ধাবাজদের কড়াইয়ে ভাজা ‘কই মাছ’ হওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
৩. এ চরম দুঃসময়ে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, একজন বাবা যখন লিখেছেন, আমার বাচ্চাটা পনের দিন মুড়ি খেয়ে আছে, বা আর কেউ লিখেন, আমার বয়স্ক দাদু রুটি দেখলেই ‘ভাত ভাত ‘ করে কান্না করে,ঘরে ঘরে যখন স্বজন হারানোর কান্নার রোল, তখন আমি টেবিল ভর্তি খাবার খাবো না বা তার ছবি দেবো না। আনন্দ ভ্রমণে যাবো না, তার ছবিও নয়। অনুভূতিহীন মানুষের চাইতে খারাপ বস্তু দুনিয়ায় আবিষ্কৃত হয়নি, হবেও না।
৪. মহিলাদের সাথে যারা সম্মান করেন না, তাঁদের নামও উচ্চারণ করবো না। বয়স্কদের ব্যাপারেও একই কথা।
৫.ছেলের বউ আর কন্যার মধ্যে আমি তফাত করবো না কখনোই। এটা জঘন্য একটি কাজ। আবার তাদের কাছ থেকেও আমি একই আচরণ আশা করবো।
৬. যারা অন্যকে হক থেকে বঞ্চিত করে, তারা যে পুকুরে গোসল করে সেখানে আমি মুখও ধোবো না।
৭. যারা ভদ্রতাকে দূর্বলতা ভাবে, তাদের আসল সত্যটা খুব ভালো ভাবে বুঝাবো। বোঝানোর অভিজ্ঞতাটা ভালো হবে না।
৮. পিতৃ সম্মান, মাতৃ সম্মান যাদের মধ্যে নেই, তাদের ছবিও আমার জীবনে নিষিদ্ধ।
৯. স্কুল লেভেলের কোনো বাচ্চার হাতে মোবাইল দেখলে তাদের বাবা-মা’র কাছ থেকে শত হস্ত দূরে থাকবো। বেকুব মানুষের সাথে বন্ধুত্ব চূড়ান্ত বেকুবি। আমি আর যাই হই, বেকুব না। (করোনাকালে তারা মোবাইলে ক্লাশ করতে পারে, তাতে আপত্তি নেই।)
১০. মাতালদের প্রবেশ আমার জীবনে নিষিদ্ধ।
১১. পদবি আসক্তদের আমি করুণা করি। এর বেশি তাদের ব্যাপারে বলার কিছু নেই।