১. শিক্ষক হচ্ছেন জাতির অভিভাবক। যে সমাজে শিক্ষকরা হাত কচলানো শুরু করেন, বা তা করতে বাধ্য করা হয়, সে সমাজের ভবিষ্যত অন্ধকার।
২. আমার সম্ভাবনার দুয়ারে আমিই দারোয়ান। আমিই সম্ভাবনাকে দরোজার বাইরে আসতে দিচ্ছি না।
৩. গণতান্ত্রিক মা-বাবা ততদিন পর্যন্ত হওয়া যাবে না, যত দিন সন্তান বুঝতে পারবে না, গণতন্ত্র মানে যা ইচ্ছা তা করার অধিকার নয়।
৪. অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধনী লোকদের সন্তান নিজ জীবনে গুরুত্বহীন হয়, আর গরীবের সন্তান হয় ‘গুরুত্বপূর্ণ’। কারণ একটিই, ধনী বাবার সময় ছিল না, গরীব বাবার সময় ছিল বাচ্চাকে পাহাড়া দেওয়ার।
৫. আমি বারবার সরি বলবো, আরেকজন কখনোই বলবেন না, সে সম্পর্ক দশ হাত মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে আমি দশ সেকেন্ড সময়ও নেবো না।
৬. শত্রুতার প্রথম জবাব হচ্ছে, নম্রতা, দ্বিতীয় জবাব ভদ্রতা, তৃতীয় জবাব বন্ধুতা। চতুর্থ জবাব হচ্ছে, তীব্রতা। প্রতি আক্রমণের তীব্রতা। যাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শত্রু ধুলিস্মাৎ হয়ে যায়। কারণ সে প্রথম তিনটি জবাবের মূল্য বুঝেনি।
৭. বৃদ্ধা মায়েরা প্রায়ই ছেলের শহরের বাড়িতে এসে বলেন, তাঁর বদ্ধ বাসা ভালো লাগছে না, তিনি গ্রামের মুক্ত পরিবেশে ফিরে যেতে চান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা তাঁর মনের কথা নয়। তিনি এটা বলেন কারণ ছেলে যদি তাঁকে রাখতে রাজি না হয় সে ভয়ে। আসলে তাঁর জন্য সন্তানের কাছে থাকার চাইতে বেশি আনন্দের আর কিছু নেই। মা হচ্ছেন ছোট্ট কবুতর, পুত্রের বুক হচ্ছে তাঁর জন্য সবচে বড়ো উঠান।
৮. আজকের যুগে প্রযুক্তিকে অস্বীকার করা গত শতকে বিদ্যুৎকে অস্বীকার করার মতোই বোকামি।
৯. পেন্সিলের সাথে ইরেজারের জন্ম হয়েছে, যাতে ভুল হলে মুছে ফেলা যায়। আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও তাই। ভুল করা অন্যায় নয়, তা সংশোধন না করা অন্যায়।
১০. যে অর্জনের জন্য শোকর করা হয় না, সে অর্জন টিকে না।
(পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। আবার কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব।
২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত। তবে ক্রেডিট দিলে কৃতার্থ থাকব।)