আমার বিশ্বাসগুলো -১৭

১. কথা তখনই বলা উচিত যখন উচ্চারিত শব্দ নীরব থাকার চেয়ে বেশি মূল্যবান।
২. প্রত্যেক সমুদ্রের তীর আছে, তেমনি সব সমস্যার সমাধান আছে।
৩. আমার ভাগ্যরেখা দেখে যদি বলা হয়, এটি দীর্ঘ নয়, তোমার উন্নতির আশা নেই, তবে আমি ছুরি দিয়ে কেটে ভাগ্যরেখা লম্বা করে ফেলবো।
এ রেখা লম্বা হবে কি হবে না তা আমার উপর নির্ভর করে, হাতের তালুতে নয়।
৪. নিয়মিত গির্জায় যাওয়া মানে মহান যিশুকে বুকে ধারণ করা নয়। ধর্ম প্রকাশ পায় কাজে ও আচরণে, রবিবারে গির্জায় যাওয়ার মধ্যে নয়। সব ধর্মের ক্ষেত্রেই একই কথা।
৫. পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে – এ প্রবাদের বিরোধিতা করে আমি বলি, উড়তে না শিখলে মানুষ চন্দ্র জয় করতে পারতো না।
৬. আপনি আমার অনেক কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারেন কিন্তু সময় নয়। তাই দয়া করে আমার সময় নষ্ট করবেন না।
৭.মেয়েকে ‘সাবধানে থাকতে হবে’ এ উপদেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকেও বলতে হবে ‘মেয়েদের দেখে রেখো। তাঁদের একজন তোমাকে দুনিয়াতে এনেছেন।’
৮. অতি বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনীয় দুঃসংবাদ দেওয়া মানে তাঁদের আরো অসুস্থ করে ফেলা। যেটি তাঁর না জানলেও চলে সে খবর তাঁকে দেওয়াটা এক ধরনের নিষ্ঠুর কৌতুকের মতোই।
৯. সাপের চাইতে দুমুখো মানুষ বেশি বিপদজনক। সাপ অযথা কামড়ায় না, দুমুখো মানুষ তাই করে।
১০. কারো বাড়িতে যাওয়ার পর যদি দেখা যায় তিনি ভ্রু কুঁচকেছেন, সে বাড়িতে দ্বিতীয়বার না যাওয়াই ভালো।
(পাদটীকা: ১.বিভিন্নজনের অভিজ্ঞতা/বক্তৃতা থেকে আমার এ বিশ্বাসগুলোর জন্ম। এর মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন রিকশা চালিয়ে হাসপাতাল গড়ে তোলা ময়মনসিংহের সাধারণ কিন্তু ‘অসাধারণ’ জয়নাল ভাই। আবার কিছু বিশ্বাস একেবারেই নিজস্ব।
২.পোস্টটি শেয়ার করার জন্য উম্মুক্ত। তবে ক্রেডিট দিলে কৃতার্থ থাকব।)

আসুনমায়াছড়াই।