আমার বিশ্বাসগুলো-০৮

আমার বিশ্বাসগুলো-০৮

১. আমি যখন ব্যবসা শুরু করলাম,পরিচিতরা ভাবলেন, ও না জানি আমাকে কত ঠকাচ্ছে? তাই তাঁরা আমার কাছ থেকে কিনলেন না। আমার ব্যবসা সফল করলেন অপরিচিত আগন্তুকরা। তারপর ব্যবসা বড়ো হলো। আমি শহরের সেরা হোটেলে তা উদযাপনের আয়োজন করলাম। সে উৎসবে সব পরিচিতরাই উপস্থিত, কেবল নেই সেই অপরিচিতরা, যাদের কল্যাণে আজকের এ উৎসব।

২ প্রতিদিন এক ঘন্টা আমার নিজের সময়। এসময়আমি নিজেকে আরো স্মার্ট বানানোর পেছনে খরচ করি।

৩. যে জিনিসটা বুঝছি না তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে পাগল হওয়ার দরকার কী? যিনি বুঝেন তাঁকে খুঁজে বের করলেই হয়।

৪ আমি খুব দ্রুত রেগে যাই, কারণ রাগ আড়াল করার দ্বিতীয় চেহারা আমার নেই।

৫. যে আমাকে ভালোবাসে তার কাছে আমি নিজেকে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করি না। কারণ তা না করলেও চলবে। আবার যে আমাকে পছন্দ করে না তার কাছেও আমি কোনো ব্যাখ্যা দেই না। কারণ সে তা কখনোই বিশ্বাস করবে না।

৬. ‘বালিশ’ হচ্ছে সুখ-অসুখের সবচে বড়ো সাক্ষী।তাতে মাথা রাখলেই যিনি সুখী তিনি অতল নিদ্রায় তলিয়ে যান। বিপরীত ক্ষেত্রে তা কখনোই হয় না।

৭.আমরা খেয়ালই করিনি কখন বিশ্ব বদলে দেওয়ার ভার স্যুট পরা ভদ্রলোকদের কাছ থেকে জিন্স আর টি শার্ট পরা তরুণদের হাতে চলে গেছে।

৮. যে প্রশ্নের উত্তর বই এর পাতা উল্টালেই জানা যায় তা মনে রাখার দরকার কী? মাথা খুব দামি রেফ্রিজারটর,এতে দামি জিনিসই সংরক্ষণ করা উচিত।

৯. শ্বশুর বাড়িতে আমার কন্যা বিছানায় হেলান দিয়ে চা খাবে, আর অন্যের মেয়ে আমার বাড়িতে পাটায় মরিচ বাটবে- এ ইচ্ছা দুনিয়ার সবচে অন্যায় ইচ্ছা।

১০. আমি সন্তুষ্ট এ কারণে যে,অনেক সিদ্ধান্তকে আমি ‘না’ করতে পেরেছি। জীবনের শ্রেষ্ঠতম সিদ্ধান্ত আসে অসংখ্য সিদ্ধান্তকে ডিসমিস করার মাধ্যমে।